দুঃখ,
কষ্ট, বেদনা সহ হরেক রকমের আবেগ। তবে আবেগ তাড়িত এই মানুষের জীবনে
অন্যান্য যেকোনও আবেগের চেয়ে দুঃখের আবেগ ২৪০ গুণ বেশি সময় স্থায়িত্ব হয়।
সম্প্রতি এক গবেষণায় তা দেখা গেছে।
বেলজিয়ামের একদল বিজ্ঞানী গবেষণা
করে বলেছেন যে, মানুষের দুঃখের বা কষ্টের আবেগ অনেক বেশি ক্ষত তৈরী করে,
যা নিরাময় হতে অন্যান্য আবেগের চেয়ে অনেক বেশি সময় লেগে যায়। যেমন, কেউ
মারা গেলে মানুষ যেভাবে দুঃখিত হয়, এবং সেই ট্রমা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায়
ফিরে আসতে যে পরিমান সময়ের প্রয়োজন হয়, তা অন্যান্য আবেগ (যেমন কোনও
কিছুতে রেগে যাওয়া, কিংবা খুশি হওয়া) থেকে অনেক গুণ বেশি।
'মটিভেশন
এন্ড ইমোশন' নামের একটি জার্নালে বেলজিয়ামের লিউভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের
বিজ্ঞানীরা তাদের এই তথ্য প্রকাশ করেন। সেখানে তারা বিষদ আলোচনা করেন, কেন
এবং কিভাবে মানুষের ব্রেইন এতোটা সময় নিয়ে থাকে।
অনেক সময় মনে হতে পারে যে একই ধরনের আবেগ স্বাভাবিক অবস্থায়
ফিরতে একই রকম সময় লাগতে পারে। কিন্তু তা নয়। তারা দেখিয়েছেন, আপাতভাবে
দেখতে একই ধরনের আবেগ ভিন্ন ভিন্ন সময় নিতে পারে। যেমন, লজ্জার চেয়ে
অপরাধবোধ অনেক বেশি সময় ধরে মানুষের ভেতর রয়ে যায়। আবার ভয়ের চেয়ে অনেক
বেশি সময় ধরে মানুষের ভেতর থাকে দুঃচিন্তা।
তবে ভালো খবর হলো এই যে, আবেগ যে কোনও ধরনেরই হোক না কেন (রাগ, অভিমান, দুঃখ ইত্যাদি), তা বেশিদিন স্থায়ী হয় না।
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন