ADs

আমি সাধারন তবে অসাধারণ কাজ করি, করব । আমার দেশের জন্য স্বপ্ন দেখি আর কাজ করি আমি স্বপ্নবাজ ।

বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৫

৮টি উপায়ে নিজেকে উদ্ভাবনী করে তুলুন



চাহিদা অনুযায়ী সৃজনশীল হতে পারছেন না? খুব বেশি লোক এটি পারেনা। তবে চিন্তার কিছু নেই। সৌভাগ্যবশত এটি একটি দক্ষতা যা আপনি উন্নত করতে পারেন।
বিশ্বাস হচ্ছে না? এক্ষুনি একবার চেষ্টা করে দেখুন। সৃজনশীল কিছু চিন্তা করুন। সম্পূর্ণ নতুন এবং ভিন্ন কিছু নিয়ে আসুন। যে কেউ এটা চেষ্টা করতে পারে।
সৃজনশীলতা কোন সুইচ নয় যা আমাদের অধিকাংশই ইচ্ছা অনুযায়ী চালু করতে পারে। সুতরাং, সৃজনশীলতার চাবিকাঠি হল কোন একটি সমস্যাকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা। প্রয়োজন আবিষ্কারের জননী, তাই একটু কৃত্রিম প্রয়োজন তৈরি করলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সৃজনশীলতা উদ্দীপকের কাজ করে।
এখানে আপনার উদ্ভাবনী সুইচ টোকার কয়েকটি সহজ উপায় আছে।
১) সবচেয়ে খারাপ যা ঘটতে পারে সেটা ভাবুনঃ
আপনি যদি আপনার সবচেয়ে বড় গ্রাহক হারান তবে কী হবে? কী হবে যদি আপনার ব্যবসা তলিয়ে যায়? কী হবে যদি আপনার একটি প্রধান প্রতিদ্বন্দী  বাজারে প্রবেশ করে?
এর উত্তর আপনার সামনে অপ্রত্যাশিত সুযোগের আবরণ উন্মোচন করতে পারে, অথবা আপনার সামগ্রিক কৌশলে পরিবর্তন আনতে পারে।
২) কেন?”-এই খেলাটি খেলেনঃ
পাঁচটি কেন?” হল মূল কারণ বিশ্লেষণ যন্ত্রাংশের একটি সাধারণ মানদণ্ড। মূল কথা হল প্রশ্ন করতে হবে কেন?”, যে কোন ভুলের আশানুরূপ আসল কারণটি খুঁজে বের করার জন্য অন্তত পাঁচবার এ প্রশ্ন করতে হবে।
কিন্তু আপনাকে একটি ভুলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। আপনি একটি সাম্প্রতিক অভ্যাস বা আচরণ  বেছে নিন এবং নিজেকে প্রশ্ন করুন যে আপনি এটা কেন করেন। বারবার জিজ্ঞাসা করতে থাকুন, আপনি এটা কেন করেন। আপনি যত বেশি বার নিজেকে প্রশ্ন করবেন, প্রতিটি উত্তরের পর আপনি সবকিছু আবার নতুনভাবে দেখতে শুরু করবেন।
৩) নিজেকে এমন ভাবুন যে আপনার সব অর্থ ফুরিয়ে গেছেঃ
নিরেট অর্থপ্রবাহ বেশ ভাল। কিন্তু আয়ের একটি সুষম স্রোত অথবা সুষম মূলধন অর্থ সঞ্চয়ের সুযোগ বা কোন অনুকূল প্রক্রিয়াকে লুকাতে পারে।
যদি আপনার সব অর্থ ফুরিয়ে যায়, তবে আপনাকে কী করতে হবে? আপনি যতোগুলো সম্ভব পরিস্থতি চিন্তা করুন এবং সবচেয়ে ভাল ধারণাটি বাস্তবায়ন করুন। যখন আপনার পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাবে এবং আপনার মনে হবে যে আর কোন উপায় নেই, তখন আপনি সেক্রেড কাউ’(পবিত্র গরু) টি, অর্থাৎ অলঙ্ঘনীয় বস্তুটি খুঁজে বের করুন; মনযোগ দিন তাতে যেটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সত্যিই একটি ভিন্নতা নিয়ে  আসতে পারে।
৪) এমন ভান করুন যেন কোন নিয়ম নেইঃ
প্রতিটি ব্যবসায়ে লিখিত এবং অলিখিত নিয়ম রয়েছে। এবং প্রত্যেকে স্ব-আরোপিত নিয়ম অনুসরণ করে।
কিন্তু আপনি কী করতেন যদি একটি সমস্যা সমাধানের জন্য আপনি প্রচলিত নির্দেশাবলী না ব্যবহার করতে পারতেন? আপনার যদি অনুমতি নেয়ার মত কেউ নাই থাকতো তাহলে? যদি আপনার সঙ্গী আপনার জামিন করাতে না পারতো বা আপনাকে আড়াল করতে না পারতো তাহলে? আপনি যদি আপনার কর্মচারী প্রশিক্ষণ এবং বিকাশ পদ্ধতি পরিবর্তন করতে পারতেন তাহলে?
মানসিক ভাবে কিছু নিয়ম ভাঙ্গুন, বিশেষত সেগুলো যদি আপনার নিজের নিয়ম হয়।
কখনও দেখবেন একটি নিয়মকোনও নিয়মই নয়, সেটি শুধুমাত্র একটি উপায় যা দ্বারা আপনি কাজ করেন মাত্র।
৫) মনে করুন যে সমস্যা সমাধানের জন্য আপনার কাছে মাত্র পাঁচ মিনিট আছেঃ
গতিও সৃজনশীলতার জননীস্বরূপ। একটি সমস্যা বেছে নিন এবং পাঁচ মিনিটে তার সমাধান করার জন্য নিজেকে জোড় করুন।
ধরুন একটি অর্থপ্রবাহ সংকটকালে আপনাকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনাকে যদি এক্ষুনি কিছু করতে হয়, আপনি কি করতেন?
বহুবিধ পরিস্থিতিতে নিঃশেষ হয়ে যাওয়া বা আগাছার মাঝে হারিয়ে যাওয়া খুব সহজ। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত কখনো কখনো সঠিক হতে পারে, কেননা সেটা একেবারে ইস্যুটির গভীর থেকে নেয়া হয়।
৬) কোনকিছুর উৎকৃষ্টটি কল্পনা করুনঃ
নিজেকে বলুন যে আপনি আপনার কার্যপ্রক্রিয়ার উন্নতিসাধন করতে চান। আমরা শতকরা অর্জন অনুযায়ী আচরণ উন্নত করার জন্য প্রশিক্ষিত হইঃ ৩% খরচ কমানো, কাজের পুনরূক্তি ৪% কমানো ইত্যাদি।
কিন্তু আপনার লক্ষ্যটি যদি নিখুঁত করার প্রয়োজন পড়তো, তাহলে? কোনো কিছু যদি ঠিক করতে হতো, আপনাকে ঠিক কী করতে হতো? এর একটি উদাহরণ দেখা যেতে পারে।
একজন উদ্যোক্তা বাজেট চক্র তৈরীর  আগে একজন মেশিন অপারেটরকে  ৩% উৎপাদনশীলতা কিভাবে বাড়ানো যায় সে সম্পর্কে তার কোন ধারণা আছে কিনা না জিজ্ঞেস করে এর বদলে জিজ্ঞেস করল যে, মেশিন যাতে অপ্রত্যাশিতভাবে খারাপ না হয়ে যায়  তা যদি তোমাকে নিশ্চিত করতে হয়? তাহলে আমাদের কী করতে হত? সে তখন মেশিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার অনুমেয় প্রতিটি কারণ বের করে তার তালিকা তৈরি করল। পরে তিনি সেই কারণগুলো দূর করার উপায় খুঁজে বের করলেন।
তারপর তিনি তার ধারণাগুলো বাস্তবায়ন করেন। তারা অনেকগুলো পদ্ধতি পরিবর্তন করেন। তারা অন্য একজন কর্মচারি নিয়োগ করে যে দুপুরের খাবারের বিরতিতে সবকিছুর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে, এবং এতে করে অনেকগুলো জিনিসের ব্যবহার বেড়েছিল। তিন মাসের মধ্যে তাদের উৎপাদনশীলতা ৩২% বেশি হয়ে গিয়েছিল এবং বাড়তি ব্যায়ের বিনিয়গের উপর আয় ছিল ৮০০% এর বেশি।
৭) ইচ্ছাকৃতভাবে সমস্যা তৈরি করে দেখুন বা অন্যভাবে কাজ করুনঃ     
উদ্ভাবনের বিশেষজ্ঞগণ ক্রমাগত পরীক্ষণ সুপারিশ করেন। কিন্তু একটি পরীক্ষণের কথা চিন্তা করলে কতগুলো সৃজনশীল স্তর প্রয়োজন, যেগুল প্রায়শই নিয়ন্ত্রণ করা যায়না।
আপনি এমন একটি কাজ ধরুন যা ভালভাবে কাজ করে। তারপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সমস্যা তৈরি করুন এবং দেখুন কী হয় (এমন একটি কাজ নিন যাতে অর্থ ব্যয় হয় না বা গ্রাহকের সাথে সম্পর্কের মাঝে কোন প্রভাব না ফেলে)।
যেমন হতে পারে প্রথমে আপনি প্রতিদিন আপনার ই-মেইল চেক করতে পারেন। তারপর দেখুন আগামীকাল কী হয়? আমি বাজি ধরে বলতে পারি যে খেয়াল করুন, অন্তত একটি সুবিধা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। আপনি আপনার কর্মচারীদের মাঝে একটু বেশী নিজের গুরুত্ব দেখতে পাবেন। কিংবা আপনি এমন কিছু কাজ করে ফেলতে পারছেন যা তাদেরকে দিনের কাজ সহজ ও তাড়াতাড়ি করার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।
তাই একটু ঘুরিয়ে কাজ করুন এবং যেটি কাজ করে সেটিই বেছে নিন।
৮) অন্যদেরকে দেখুনতাদের কাছ থেকে শিখুনঃ
শিল্প ক্ষেত্রে পারষ্পরিক উন্নয়ন খুব কম হয় কারণ আমরা স্বভাবতই নিজেদের গণ্ডির মাঝেই থাকি। একজন আইনজীবী বন্ধু একজন সফল খুচরা বিক্রেতাকে দেখে শিক্ষা নিতে পারে যে কিভাবে তার ফার্ম এ মক্কেল এর দেখা পাওয়া যাবে।
একজন ভারী যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক তার কারখানার নিরাপত্তা উন্নয়নের জন্য প্রতিমাসে অন্যান্য বিভিন্ন কারখানা ঘুরে দেখেন।
কোথাও না কোথাও কেউ না কেউ কোনকিছু খুব ভালভাবে করছে। তাহলে আপনার ব্যবসায়ে কেন নয়? আপনি অন্যের ধারণা থেকে যা ধার করবেন তা আপনার কাজে সৃজনশীলতার প্রকাশ হতে পারে।

শনিবার, ১৪ মার্চ, ২০১৫

 




ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট, মরহুম ফ্রাঁসোয়া মিত্রা প্রেসিডেন্ট পদে থাকেন ১৯৮১-১৯৯৫ সাল পর্যন্ত। তিনি তার পদে থাকাকালীন সময়ে আশির দশকের শেষের দিকে ফিরাউনের মমিকে আতিথেয়তার জন্য মিসরের কাছে অনুরোধ জানালেন। ফ্রান্স তাতে কিছু প্রত্নতাত্তিক গবেষণা করতে চাইল। মিসরের সরকার তাতে রাজি হল। কাজেই কায়রো থেকে ফিরাউনের যাত্রা হল প্যারিস! প্লেনের সিড়ি থেকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট, তার মন্ত্রীবর্গ ও ফ্রান্সের সিনিয়র অফিসারগণ লাইন দিয়ে দাড়ালেন এবং মাথা নিচু করে ফিরাউনকে স্বাগত জানালেন!! যখন ফিরাউনকে জাঁকালো প্যারেডের মাধ্যমে রাজকীয়ভাবে বরণ করে, তার মমিকে ফ্রান্সের প্রত্নতাত্তিক কেন্দ্রের একটা বিশেষ ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হল, যেখানে ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় সার্জনরা আছে এবং তারা ফিরাউনের মমিকে অটপ্‌সি (ময়নাতদন্ত) করে সেটা স্টাডি করবে ও এর গোপনীয়তা উদঘাটন করবে। মমির উপর গবেষণার জন্য প্রধান সার্জন ছিলেন প্রফেসর মরিস বুকাইলি। থেরাপিস্ট যারা ছিলেন তারা মমিটাকে পুনর্গঠন (ক্ষত অংশগুলো ঠিক করা) করতে চাচ্ছিল, আর ডা. মরিস বুকাইলি দৃষ্টি দিচ্ছিলেন যে কিভাবে এই ফিরাউন মারা গেল! পরিশেষে, রাতের শেষের দিকে ফাইনাল রেজাল্ট আসলো! তার শরীরে লবণ অবশিষ্ট ছিল: এইটা সবচেয়ে বড় প্রমাণ যে সে (ফিরাউন) ডুবে মার গিয়েছিল এবং তার শরীর ডুবার পরপরই সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র [লোহিত সাগর] থেকে তুলে আনা হয়েছিল! তারপর লাশটা সংরক্ষণ করার জন্য দ্রুত মমি করা হল। কিন্তু এখানে একটা ঘটনা প্রফেসর মরিসকে হতবুদ্ধ করে দিল, যে কিভাবে এই মমি অন্য মমিদের তুলনায় একেবারে অরক্ষিত অবস্থায় থাকল, যদিওবা এটা সমুদ্র থেকে তোলা হয়েছে [কোন বস্তু যদি আদ্র অবস্থায় থাকে ব্যাকটেরিয়া ঐ বস্তুকে দ্রুত ধ্বংস করে দিতে পারে, কারণ আদ্র পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করতে পারে]!! ডা. মরিস ফাইনাল রিপোর্ট তৈরি করল যাতে তিনি বললেন: এটা একটা নতুন আবিস্কার। সেই সময় তাকে একজন তার কানে ফিসফিসিয়ে বলল: মুসলিমদের এই ডুবে যাওয়া মমি সম্পর্কে ঝট করে আবার বলতে যেও না! কিন্তু তিনি দৃঢ়ভাবে এর সমালোচনা করলেন এবং এটা আজব ভাবলেন যে, এরকম একটা বিশাল আবিস্কার যেটা আধুনিক বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য সহায়তা করবে সেটা জানানো যাবেনা!! কেউ একজন তাকে বলল যে কুরআনে বলা আছে যে ফিরাউনের ডুবা ও তার লাশ সংরক্ষণের ব্যাপারে। এই ঘটনা শুনে ডা. মরিস বিস্মিত হয়ে গেলেন এবং প্রশ্ন করতে লাগলেন, এটা কিভাবে সম্ভব?? এই মমি পাওয়া গিয়েছে মোটে ১৮৮১ সালে, আর কুরআন নাজিল হয়েছে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে!! আরবেরা প্রাচীন মিসরীয়দের মমি করার পদ্ধতিতো জানতোই না, মাত্র কয়েক দশক আগে আমরা জানলাম!! ডা. মরিস বুকাইলি সেই রাতে ফিরাউনের লাশের দিকে একদৃষ্টিতে তাকেয়ে বসে রইলেন, আর গভীরভাবে ভাবছিলেন যেটা তার কলিগ তার কানে ফিশফিশিয়ে বলে গেল যে মুসলিমদের কুরআনে ফিরাউনের লাশের সংরক্ষণের কথা!! বাইবেল ফিরাউন কর্তৃক মুসা (আ) পিছু নেয়ার কথা বলা আছে কিন্তু ফিরাউনের লাশের কি হল সেটা সম্পর্কে কিছুই বলা নেই। তিনি নিজেকেই প্রশ্ন করছিলেন যে, এটা কি সম্ভব যে এই মমি যার সেই (ফিরাউন) কি মুসার (আ) পিছু নিয়েছিল? এটা কি ধারণা করা যায় যে মুহাম্মদ (স) ১৪০০ বছর আগেই এটা সম্পর্কে জানতেন?? 

ডা. মরিস সেই রাতে ঘুমাতে পারলেন না, তিনি তোরাহ্‌ (তাওরাত) আনালেন এবং সেটা পড়লেন। তোরাহতে বলা আছে, পানি আসলো এবং ফিরাউনের সৈন্য এবং তাদের যানবাহনগুলোকে ঢেকে দিল, যারা সমুদ্রে ঢুকল তাদের কেউই বাঁচতে পারল না। ডা. মরিস বুকাইলি হতবুদ্ধ হয়ে গেলেন যে বাইবেলে লাশের সংরক্ষণের ব্যাপারে কিছুই বলা নেই!! তিনি তার লাগেজ বাধলেন এবং সিদ্ধান্ত নিলেন যে যে তিনি মুসলিম দেশে যাবেন এবং সেখানে প্রখ্যাত মুসলিম ডাক্তারদের সাক্ষাৎকার নিবেন যাদের অটোপ্‌সি বিশেষজ্ঞ। তার সেখানে পৌছনোর পর ফিরাউনের লাশ ডুবার পর সংরক্ষণের যে আবিষ্কার তিনি যেটা পেয়েছেন সেটা নিয়ে বললেন। তাই একজন বিশেষজ্ঞ (মুসলিম) পবিত্র কুরআন খুললেন এবং আয়াতটা ডা. মরিসকে পড়ে শুনালেন যেখানে সর্বশক্তিমান আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা বলেনঃ “অতএব আজকের দিনে বাঁচিয়ে দিচ্ছি আমি তোমার দেহকে যাতে তোমার পশ্চাদবর্তীদের জন্য নিদর্শন হতে পারে। আর নিঃসন্দেহে বহু লোক আমার মহাশক্তির প্রতি লক্ষ্য করে না।” [আল-কুরআন; সুরাঃ ১০, আয়াতঃ ৯২] তিনি এই আয়াতের দ্বারা খুবই প্রভাবিত হয়ে পড়লেন এবং দর্শকদের (মুসলিম সার্জন) ভীষণভাবে অভিভূত হয়ে পড়লেন এবং তিনি তার জোর গলায় চিৎকার দিয়ে বললেন: আমি ইসলামে প্রবেশ করেছি এবং আমি এই কুরআনে বিশ্বাসী। [সুবহানাল্লাহ] ডা. মরিস বুকাইলি ফ্রান্স ফিরে গেলেন এক ভিন্ন অবস্থায়। ফ্রান্সে ১০ বছর তিনি আর কোন ডাক্তারি প্রকটিস্‌ করেন নি বরং এই সময়ে (টানা ১০ বছর ধরে) তিনি আরবী ভাষা শিখেছেন। তিনি পবিত্র কুরআনে কোন বৈজ্ঞানিক দ্বিমত আছে কিনা সেটা খুজেছেন, তারপর তিনি পবিত্র কুরআনের একটি আয়াতের অর্থ বুঝলেন যেটাতে বলা আছেঃ “এতে মিথ্যার প্রভাব নেই, সামনের দিক থেকেও নেই এবং পেছন দিক থেকেও নেই। এটা প্রজ্ঞাময়, প্রশংসিত আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।” [আল-কুরআন; সুরাঃ ৪১, আয়াতঃ ৪২] ১৯৭৬ সালে ডা. মরিস বুকাইলি একটা বই লেখেন যেটা পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের টনক নাড়িয়ে দেয়। যেটা বেস্ট সেলার হয়। বইটি প্রায় ৫০ টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে!! বইটির নামঃ “বাইবেল, কুরআন এবং বিজ্ঞান” তিনি থিওরি অফ এভুলুশনকে চ্যালেঞ্জ করে একটি বই লেখেন, যার নাম “What is the Origin of Man?

সোমবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৫

আপনার IMEI কোড দিয়ে খুব সহজে দেখে নিন আপনার মোবাইল ফোনটি আসল কী না।


আমাদের অনেকেরই ইচ্ছা হয় জানতে আমাদের মোবাইল ফোনটি আসল কি না। আরো ভালো হয় যদি কেনার আগে তা চেক করে নেয়া যায়। এই পদ্ধতিতে যেকোনো ব্রান্ডের মোবাইল ফোন ও মডেম চেক করতে পারবেন।
এবার কথা না বাড়িয়ে জেনে নেয়া যাক=
১।  আপনার মোবাইলে ডায়াল করুন *#06# আর আপনার IMEI নম্বরটি দেখে নিন।
২। যদি নতুন মোবাইল কেনার সময় চেক করতে চান তবে দেখবেন মোবাইল বক্সের এক পাশে স্টিকারে IMEI কোড দেয়া থাকে সেখান থেকে দেখে নিন।
৩।  এই লিঙ্কে যান।
৪। বক্সে আপনার IMEI নম্বরটি লিখুন।
৫। Check এ ক্লিক করুন।
আপনার ফোনটি যদি আসল হয় তবে আপনার ফোনের যাবতীয় তথ্য আপনি দেখতে পাবেন। এটি যদি মিলে যায় তবে আপনার ফোনটি আসল। আর না মিললে তো বুঝতেই পারছেন

জীবনের ৬টি বাস্তবতা যত কঠোরই হোক আপনাকে মানতেই হবে

জীবনের ৬টি বাস্তবতা যত কঠোরই হোক আপনাকে মানতেই হবে
বাস্তবতা এমন একটি জিনিস যা আমাদের চোখের সামনে থাকলেও আমরা না দেখার ভান করেই চলি। কারণ বাস্তবতা অনেক কঠিন একটি জিনিস। আমরা অনেকেই মনে করে থাকি এই কঠিন জিনিসটি থেকে যতোটা দূরে থাকা যায় ততোটাই আমাদের জন্য ভালো। কিন্তু আসলেই কি তাই? অবশ্যই নয়। বাস্তবতা এবং সত্য যতো দ্রুত আমরা মেনে নিতে পারবো ততোই আমাদের জীবনের সমস্যা একে একে দূরে যেতে থাকবে।
মেনে নিতে শেখাটা যতো দেরিতে হবে ততোই জীবনে দুঃখ বাড়তে থাকবে। বাস্তবটা তাই না দেখার ভান না করে এর মুখোমুখি হওয়াই ভালো। এতে করে নিজেকে তৈরি করে নিতে পারবেন জীবনের জন্য।

১)পৃথিবীতে আপনিই একমাত্র দুঃখী ব্যক্তি নন

নিজের দুঃখটা সকলেই প্রথমে এসে পড়ে। এটা জানা কথা। কিন্তু তাই বলে আপনিই যে পৃথিবীর একমাত্র দুঃখী ব্যক্তি তা কিন্তু নন। আপনি যা নিয়েও সুখী নন সেটুকুর জন্য অনেকে আরও বেশি দুঃখে আছেন এমন ব্যক্তির সংখ্যাই পৃথিবীতে বেশি। যখন আপনি নিজেকে সামনে এগিয়ে নিতে চাইবেন তখন আপনি নিজের থেকে বড় অবস্থানের দিকে তাকাবেন, কিন্তু আপনি যখন নিজেকে দুঃখী এবং ছোট মনে করছেন তখন নিজের চাইতে নিচের অবস্থানের মানুষটিকে দেখুন। দেখবেন আপনি অনেকের চাইতে অনেক বেশীই ভালো আছেন।

২)আপনি যা চান তার সব কিছু সহজেই পাওয়া সম্ভব নয়

আপনি যা চান তা আপনি চাইলেই হাতের মুঠোয় চলে আসবে না কখনোই। এবং আপনি যতোটা সহজে পেতে পারবেন বলে ভাবছেন তা আপনি ততো সহজে পাবেন না কোনোভাবেই। আপনি হয়তো ভাবছেন সহজেই কাজটি করে আপনার স্বপ্ন পূরণ করে নেবেন। কিন্তু যখন আপনি কাজটি করতে যাবেন তখন বুঝবেন কতোটা কঠিন জীবনে সফলতা আনা। এবং হাল ছেড়ে দেয়া তো একেবারেই সম্ভব নয়। হাল ছেড়ে দিলে জীবনেও সফলতার মুখ দেখবেন না।

৩)বাহ্যিক সৌন্দর্যই সব কিছু নয়

যারা নিজের বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে অনেক বেশি গর্বিত এবং যারা সব সময় বাইরের চাকচিক্যকে প্রাধান্য দিয়ে অভ্যস্ত তাদের বুঝে নেয়া উচিৎ বাহ্যিক সৌন্দর্যই সব কিছু নয়। কারণ এই বাহ্যিক সৌন্দর্য কিছুদিনের মধ্যেই মলিন হয়ে যাবে। যা চিরকাল থাকবে তা হলো ভেতরের সৌন্দর্য।

৪)আপনি যাই করুন না কেন আপনাকে সমালোচনার মুখে পরতেই হবে

আপনি যাই করুন না কেন আপনার কাজের মধ্য থেকে খুঁত বের করা হবেই। একেকজনের অভিমত একেক ধরণের হয়ে থাকে। আপনি একজনের কথা শুনে নিজেকে পরিবর্তিত করে নিলেন, কিন্তু দেখবেন আপনার পরিবর্তিত রূপটিই অন্য একজনের কাছে অপছন্দের। সুতরাং আপনি যাই করুন না কেন আপনাকে কথা শুনতেই হবে। তাই শোনা কথা কান দিলে জীবনে উন্নতি করতে পারবেন না।

৫)কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে বসতে নেই

কাউকে বিশ্বাস না করতে পারলে আপনি জীবনে কখনোই শান্তি পাবেন না। সব সময় অস্বস্তির মধ্যে জীবন যাপন করতে হবে। কিন্তু আবার আপনি যদি একেবারে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে বসে থাকেন তাহলেও কিন্তু আপনাকে ঠকতে হবে। তাই মানুষকে বিশ্বাস করুন তবে একেবারে অন্ধভাবে নয়। কিছুটা সন্দেহ নিজের মধ্যেই রেখে দিন।

৬)আপনার জীবনে সব সময় সুখ থাকবে না

জীবনের সব চাইতে বড় বাস্তবতা হচ্ছে আপনি সব সময় সুখে থাকতে পারবেন না। আমারা যতোই সারাজীবন সুখের পিছনে ছুটে থাকি না কেন, সুখ কিন্তু সারাজীবনই আমাদের হাতে ধরা দেবে না। কারণ জীবনটা সুখ দুঃখ মিলিয়েই তৈরি। আবার আপনি যদি নিজেকে সব সময় দুঃখী ভাবতে থাকেন তাহলেও আপনি সুখ পাবেন না। তাই কোনো কিছুর পিছনে না ছুটে নিজেকে সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য তৈরি করে নিন। এতেই সঠিকভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন।

যে ৮ টি কারণে আপনি এখনো খুঁজে পাচ্ছেন না মনের মানুষটিকে

আমরা অনেকেই নিজের জন্য একজন "পারফেক্ট" মানুষের খোঁজে থাকি। এমন মানুষ খুঁজে থাকি যার সাথে অনায়াসে কাটিয়ে দেয়া যায় পুরোটা জীবন। কিন্তু অনেকেই অভিযোগ করে থাকেন নিজের ভাগ্য নিয়ে। তাদের ভাগ্যে সঠিক মানুষের সাথে সম্পর্ক নেই বলে ভাবেন অনেকে। কিন্তু নিজের ভাগ্যকে সব সময় দোষ দেয়া কি ঠিক? আপনি কি একটিবার ভেবে দেখেছেন, আপনার মধ্যে এমন কিছু আছে কি না যার কারণে আপনি এখনো নিজের জন্য একজন পারফেক্ট মানুষের দেখা পাচ্ছেন না? হতে পারে আপনার কিছু ভুলে আপনি এখনো নিজের মনের মানুষ খুঁজে পাচ্ছেন না।

১) আপনি অনেক বেশি মাত্রায় চেষ্টা করছেন

আপনি যদি একজন মনের মানুষ খোঁজার অনেক বেশি চেষ্টা শুরু করে দেন তাহলে সঠিক মানুষটি খুঁজে না পাওয়া সম্ভাবনাই বেশি। কারণ আপনি অনেক বেশি মরিয়া হয়ে উঠলে ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই এতো বেশি মরিয়া হয়ে উঠবেন না যার কারণে পরে পস্তাতে হয়।

২) আপনি এখনো আপনার প্রাক্তন প্রেম ভুলতে পারেন নি

যারা ব্রেকআপের শিকার তারা অনেক সময়েই প্রাক্তন প্রেমিক/প্রেমিকার কথা ভুলতে না পারার কারণে নতুন করে মনে মানুষ খুঁজে পান না। সব সময় প্রাক্তন প্রেমিক/প্রেমিকার কথা মনে পড়ে বলে অন্য কাউকে নিয়ে ভাবতে পারেন না অনেকেই।

৩) আপনি অনেক বেশি নাক উঁচু স্বভাবের

ভালোবাসার সম্পর্ক অনেক বেশি ভেবে চিন্তে হয় না। আপনি যদি কাউকে পছন্দ করেন বা কেউ আপনাকে পছন্দ করলে আপনি তার সকল দোষগুলোকে বড় করে দেখে নিয়ে পিছিয়ে আসেন, তাহলে কিন্তু আসলেই মনের মানুষ পাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। বেশি নাক উঁচু স্বভাবের হলে নিজের জন্য কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায় না।

৪) আপনি অনেক বেশি বিষণ্ণ থাকেন

মনের মানুষ খুঁজে পাচ্ছেন না বলে অনেক বেশি বিষণ্ণ থাকেন? তাহলে জেনে রাখুন আপনার সঠিক মানুষটি খুঁজে না পাওয়ার পেছনে বিষণ্ণতাও অনেকাংশে দায়ী। কারণ মানুষ তারই প্রেমে পড়েন যারা অনেক বেশি হাসিখুশি থাকেন এবং হাসিখুশি জীবনযাপন করেন।

৫) আপনার ব্যবহার অনেক বেশি রুক্ষ

ভালোবাসায় প্রতারণা পেলে কিংবা সঠিক মানুষের দেখা না পেলে অনেকেই ভেতর থেকে রুক্ষ হয়ে যান। তখন না চাইলেও ব্যবহার অনেক বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। কিন্তু আপনার রুক্ষ ব্যবহার আপনার চারপাশে তৈরি করে দিচ্ছে একটি দেয়াল, যা ভেঙে হয়তো ভেতরে প্রবেশ করতে চান না অনেকেই।

৬) আপনি কাউকে বিশ্বাস করতে পারছেন না

পৃথিবীতে ভালো খারাপ দুধরণের মানুষই রয়েছেন। আপনি যদি খারাপ মানুষের কথা ভেবে নিয়ে সকলকে অবিশ্বাসের নজরে দেখতে থাকেন তাহলে নিজের মনের মানুষ পাওয়া যাবে না। তবে অন্ধের মতো বিশ্বাস করাও উচিত নয়।

৭) আপনি চেষ্টা করা ছেড়ে দিয়েছেন

অনেকেই বারবার চেষ্টা করে একেবারে হাল ছেড়ে দিয়ে বস থাকেন। এটিও ঠিক নয়। অতিরিক্ত চেষ্টা যেমন সঠিক নয় তেমনই একেবারে চেষ্টা ছেড়ে দেয়াও ঠিক নয়। কারণ নিজের ভাগ্য বদলে ফেলার জন্য নিজেকে কিছুটা হলেও কাজ করতে হবে।

৮) আপনি পারফেক্ট মানুষ খোঁজেন

কেউই পারফেক্ট নন এই পৃথিবীতে। আর ভালোবাসার সত্যিকারের অর্থ হচ্ছে কারো ইমপারফেকশনটাকেই ভালোবাসার নজরে দেখা। কারো সকল দোষ গুণ আপন করে নেয়া। অথচ আপনি পারফেক্ট মানুষের খোঁজ করতে করতে নিজের কাছে আসা মানুষটিকে দূরে ঠেলে দিয়ে একাকী জীবন যাপন করছেন।

এলিটডেইলিতে প্রকাশিত, ‘Reasons Why You’re Still Single For The Holidays’ হতে অনুপ্রাণিত।

অন্যান্য আবেগের চেয়ে দুঃখের আবেগ ২৪০ গুণ বেশি সময় স্থায়িত্ব হয়!

 

দুঃখ, কষ্ট, বেদনা সহ হরেক রকমের আবেগ। তবে আবেগ তাড়িত এই মানুষের জীবনে অন্যান্য যেকোনও আবেগের চেয়ে দুঃখের আবেগ ২৪০ গুণ বেশি সময় স্থায়িত্ব হয়। সম্প্রতি এক গবেষণায় তা দেখা গেছে।


বেলজিয়ামের একদল বিজ্ঞানী গবেষণা করে বলেছেন যে, মানুষের দুঃখের বা কষ্টের আবেগ অনেক বেশি ক্ষত তৈরী করে, যা নিরাময় হতে অন্যান্য আবেগের চেয়ে অনেক বেশি সময় লেগে যায়। যেমন, কেউ মারা গেলে মানুষ যেভাবে দুঃখিত হয়, এবং সেই ট্রমা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে যে পরিমান সময়ের প্রয়োজন হয়, তা অন্যান্য আবেগ (যেমন কোনও কিছুতে রেগে যাওয়া, কিংবা খুশি হওয়া) থেকে অনেক গুণ বেশি।

'মটিভেশন এন্ড ইমোশন' নামের একটি জার্নালে বেলজিয়ামের লিউভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা তাদের এই তথ্য প্রকাশ করেন। সেখানে তারা বিষদ আলোচনা করেন, কেন এবং কিভাবে মানুষের ব্রেইন এতোটা সময় নিয়ে থাকে।

অনেক সময় মনে হতে পারে যে একই ধরনের আবেগ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে একই রকম সময় লাগতে পারে। কিন্তু তা নয়। তারা দেখিয়েছেন, আপাতভাবে দেখতে একই ধরনের আবেগ ভিন্ন ভিন্ন সময় নিতে পারে। যেমন, লজ্জার চেয়ে অপরাধবোধ অনেক বেশি সময় ধরে মানুষের ভেতর রয়ে যায়। আবার ভয়ের চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে মানুষের ভেতর থাকে দুঃচিন্তা।

তবে ভালো খবর হলো এই যে, আবেগ যে কোনও ধরনেরই হোক না কেন (রাগ, অভিমান, দুঃখ ইত্যাদি), তা বেশিদিন স্থায়ী হয় না।

সোমবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৫

বাংলাদেশর রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতা, দুর্নীতি, স্বজন প্রীতি, দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং মুল্যস্ফীতির কারণে আমরা যারা ভাবি, “এই দেশে কিসসু হবে না। দেশটা একদম রসাতলে গেছে”, তাদেরকে বলছি। আশার আলো এখনো ফুরিয়ে যায়নি। বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে ভালো কিছুর জন্য মডেল হতে পারে। যেটি আমরা অতীতেও দেখেছি এখনো দেখছি। তারই একটি উদাহরণ এই ‘ভাসমান স্কুল’। floting school_1
ছয় বছর বয়সি মোহাম্মদ ওয়াসীমকে নদীর ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তার বন্ধুদের সাথে। পিঠে তাদের নানা রঙের ব্যাগ৷ অপেক্ষা স্কুলের জন্য৷ এখানকার স্কুলে শিক্ষার্থীদের যেতে হয়না, বরং স্কুলই চলে আসে শিক্ষার্থীর কাছে ! বলছি নাটোরের চলনবিল সংলগ্ন একটি দুর্গম এলাকার কথা৷ যেখানে নৌকাতে তৈরি করা হয়েছে এমন একটি বিদ্যালয় যাতে আছে পাঠাগার এমনকি ইন্টারনেট ক্যাফেও৷ শিশু কিশোররা এসব নৌকায় চড়ে প্রাথমিক শিক্ষা নেয়, বই পড়ে আর ইন্টারনেটের ব্যবহার করে৷ বলা বাহুল্য এটিই হচ্ছে আলোচিত ‘ভাসমান স্কুল’ যার উদ্যোক্তা বাংলাদেশের তরুণ স্থপতি মোহাম্মদ রেজওয়ান। floting school_3
বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের শতকরা ৬৬ ভাগই বাস করেন গ্রামে৷ ২০০২ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, মৌসুমী বন্যায় বাংলাদেশের এক পঞ্চমাংশ এলাকা প্লাবিত হয়৷ এছাড়া বড় বড় বন্যায় দেশটির দুই তৃতীয়াংশ এলাকা পানির নীচে চলে যায়৷ এই বন্যার সবচেয়ে বড় শিকার স্কুলের শিক্ষার্থীরা৷ বন্যার সময় দেশের অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়৷ ২০০৭ সালের বন্যায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ শতাংশ মানে ১৫ লাখ শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্কুল ডুবে যাওয়ার কারণে৷ জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, এই শতকের শেষ নাগাদ বাংলাদেশের অন্তত ১৮ শতাংশ এলাকা তলিয়ে যাবে৷ গৃহহীন হবে কমপক্ষে ৩০ মিলিয়ন মানুষ৷ তাই, পানিতে বেঁচে থাকার নানা উপায় নিয়ে গবেষণা চলছে এদেশে৷ এমনই এক তরুণ গবেষক মোহাম্মদ রেজওয়ান। বেসরকারি সাহায্য সংস্থা সিধুলাই স্বনির্ভর সংস্থার কর্নধার তিনি৷ নিজের উদ্যোগে তৈরি করছেন একের পর এক নৌকা-স্কুল৷
রেজওয়ান তার স্কুল সম্পর্কে বলেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে৷ উত্তরাঞ্চলের নদীগুলো দিনে দিনে বড় হচ্ছে৷ কারন নদীর ভাঙন বাড়ছে৷ তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে জলবায়ু পরির্বতনের সঙ্গে খাপ খাওয়ার নানা উপায় ভাবতে হচ্ছে আমাদেরকে৷তিনি বলেন, ‘‘নৌকায় স্কুল, লাইব্রেরি বা ট্রেনিং সেন্টার তৈরির ক্ষেত্রে আমাদের সফল মডেল রয়েছে৷”
নৌকা-স্কুলের পুরোটা জুড়েই ক্লাসরুম৷এসব ভাসমান বিদ্যালয়ে সপ্তাহে ৬ দিন গড়ে চারঘন্টারও বেশি সময় লেখাপড়া করে শিক্ষার্থীরা৷ অনেকে বাড়ির ঘাট থেকেই নৌকায় ওঠে৷নৌকা স্কুলগুলোর দৈর্ঘ্য ৫৫ ফুট, প্রস্থ ১১ ফুট৷অন্তত জনাত্রিশেক শিক্ষার্থী একত্রে বসতে পারে সেখানে৷এক যুগের ব্যবধানে বর্তমানে প্রায় ৯০ হাজার পরিবারের শিশুরা আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় ভাসমান স্কুলে শিক্ষা গ্রহণ করছে৷ ২২টি স্কুলে ১,৮১০ জন শিশু পড়াশুনা করছে৷শিক্ষক ছাড়াও তাদের জন্য রয়েছে মাল্টিমিডিয়া শিক্ষার ব্যবস্থা৷ কম্পিউটার ব্যবহার করেও নানা বিষয় সেখানো হয় তাদের৷এ স্কুলের এক নিয়মিত শিক্ষার্থী হাসিনুর রহমান৷ তাঁর কথায়, আমাদের গ্রামে নৌকা পাঠাগার আসার আগে ইন্টারনেট বা কম্পিউটার সম্পর্কে কেউ কিছু জানতো না৷ floting school_2
প্রশ্ন হলো, নৌকার মধ্যে কম্পিউটার চলে কীভাবে? কিভাবেই বা জ্বলে লাইট বাল্ব? উত্তরটা কিন্তু সোজা৷ নৌকা-স্কুলের ছাদেই বসানো আছে সোলার প্যানেল, সেই প্যানেল চার্জ করে কয়েকটি ব্যাটারিকে৷ এসব ব্যাটারিই শক্তির মূল উৎস৷
এছাড়া কলম, বই – সবই থাকে বিনা খরচায়৷ তাই এই বিদ্যালয়ে যেতে শিক্ষার্থীদের কিছুই কিনতে হয়না৷এক শিক্ষার্থী জানালেন, তাদের গ্রামে দুই থেকে তিনবার বন্যা হয়৷ বন্যার সময় অন্যান্য স্কুল ডুবে যায়৷ নৌকা স্কুল ডোবে না৷
নৌকা-স্কুলের দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন মধুসুদন কর্মকার৷ তিনি বলেন, বর্ষাকালে চলনবিল এলাকায় স্কুলে যাওয়া বড় কঠিন কাজ৷ কেননা রাস্তাঘাটে পানি উঠে যায়৷ চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে অনেক এলাকা৷ তাই, নৌকা-স্কুলই ভরসা অনেকের জন্য৷

বেশ দ্রুতই রেজওয়ানের ‘ভাসমান স্কুল’ প্রকল্প নাম করেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে৷ 

একদিকে তিনি যেমন গেটস ফাউন্ডেশন থেকে ‘মিলিয়ন ডলার ফান্ড’ পেয়েছেন তো অন্যদিকে ইন্টেল তাঁকে অ্যাওয়ার্ডও দিয়েছে। সিধুলাই এর উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা চলছে দেশী বিদেশী সংবাদমাধ্যমে৷ সিএনএন থেকে শুরু করে গার্ডিয়ান পর্যন্ত প্রায় সব আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এই খবরকে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করেছে৷ ইউনিসেফের ওয়েবসাইটে শোভা পাচ্ছে ‘ভাসমান স্কুল’ নিয়ে রেজওয়ানের লেখা একটি নিবন্ধ৷ টুইটারে টপ ট্রেন্ড এটি৷ইতিমধ্যে এই সংস্থা কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছে গেটস ফাউন্ডেশনের পুরস্কার, সাসাকা এওয়ার্ড, ইন্টেল পরিবেশ এওয়ার্ডসহ বেশকিছু সম্মাননা৷ এ প্রকল্পকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে দুটি তথ্যচিত্র৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির মুখে থাকা আরও অনেক দেশে চালু হয়েছে এই নৌকা স্কুল৷ এ সব দেশের মধ্যে রয়েছে কম্বোডিয়া, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন্স, ভিয়েতনমি ও জাম্বিয়া৷সর্বশেষ আন্তর্জাতিক পাঠ্যক্রমে এ ভাসমান স্কুল প্রকল্প সম্পর্কে পড়ানো হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট মোকাবেলায় মানুষের সংগ্রামের অসাধারণ চিত্রকল্প হিসেবে৷
রেজওয়ান জানান, তিনি পুরস্কারের টাকায় নৌকা স্কুল, সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে গ্রাম আলোকিত করার প্রকল্পসহ স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার কাজ করছেন৷ এখন তিনি কাজ শুরু করেছেন পানিতে ভাসমান সবজি চাষ এবং কৃষি খামার প্রকল্প করার লক্ষ্যে৷ আর ভাসমান স্কুলকে ভাসমান বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত উন্নীত করার স্বপ্নও তাঁর রয়েছে৷ তবে এর জন্য আরও বেশি তহবিল প্রয়োজন৷ এ তহবিলসংগ্রহ অনেক কঠিন৷ সেই কঠিন প্রচেষ্টাই এখন চালিয়ে যাচ্ছেন মোহাম্মদ রেজওয়ান৷সিধুলাই স্বনির্ভর সংস্থা চলনবিল সংলগ্ন এলাকার সাধারণ মানুষকে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিভিন্ন শিক্ষা দেবারও চেষ্টা করে৷ তবে, তাদের মূল উদ্দেশ্য নৌকা স্কুল৷ সংস্থাটি চায়, চলনবিলের এক লাখ আশি হাজার শিশু কিশোরকে নৌকায় শিক্ষা দিতে৷ এজন্য চাই আরো নৌকা, আর্থিক সহায়তা

এশিয়ার ‘সেরা গভর্নর’ আতিউর



‘গরিবের অর্থনীতিবিদ’ আতিউরের গুসি শান্তি পুরস্কার জয়

প্রত্যেকের অন্তত একটি ব্যাংক হিসাবের স্বপ্ন গভর্নরের

ব্যাংকগুলোর সুশাসনই চ্যালেঞ্জ

লন্ডনভিত্তিক প্রভাবশালী পত্রিকা দি ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের ব্যাংক ও অর্থনীতি বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘দ্য ব্যাংকার’ সোমবার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে তাকে ২০১৫ সালের ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করে।


একই সঙ্গে ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকা অঞ্চলের সেরা গভর্নরদের নামও জানানো হয় অর্থনীতি বিষয়ক সাময়িকীটির ওয়েবসাইটে।

এতে বলা হয়, “প্রবৃদ্ধি বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে কোনো আপস না করে পরিবেশবান্ধব ও সমাজসচেতন উন্নয়নে পুঁজি সরবরাহ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান।”


আতিউরকে উদ্ধৃত করে ওয়েবসাইটে বলা হয়, “শুরুতে এটা সহজ ছিল না। সেন্ট্রাল ব্যাংকাররা সাধারণত কিছুটা রক্ষণশীল ও সংশয়বাদী হয়ে থাকেন। তারা ভেবেছিলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ নিলে বিপর্যয় হবে।

“অনেক উন্নত দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফাঁপা তারল্য ও মুদ্রাপ্রবাহ সৃষ্টি করে। বাস্তবে তারা এমন কিছু করে না, যাতে ফাটকা অর্থায়ন বন্ধ হয় এবং ক্ষুদ্র আমানতসহ তারল্য বৃদ্ধি পায়। এটা হলে, আর্থিক ব্যবস্থা আরো বেশি স্থায়ী হবে এবং সার্বিক ঋণে বৈচিত্র্য আসবে।”

কৃষি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে সহায়তা করে আর্থিক সংকটগুলো মোকাবেলা করা যায় বলে মনে করেন তিনি।

দ্য ব্যাংকারের ওয়েবসাইটে আর্থিক সেবাবঞ্চিত ক্ষুদ্র কৃষকদের সহায়তাকে তার প্রধান পদক্ষেপ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ১০ লাখ ক্ষুদ্র কৃষককে ৫০০ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে, যাদের ৫৫ শতাংশই নারী। এই প্রকল্পের আদায়ের হার ৯৯ শতাংশ।

ছিন্নমূল শিশুদের আর্থিক সেবার আওতায় নিয়ে আসাকেও তার অন্যতম পদক্ষেপ বলে বিবেচনা করা হয়েছে।

এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার পুনঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে, যার আওতায় এক কোটি ৪০ লাখ ছিন্নমুল শিশুর সঞ্চয়ী হিসাব খোলা হয়েছে।

এবিষয়ে গভর্নর বলেন, “তাদের বয়স যখন ১৮ হবে তখন তারা এই টাকা নিয়ে ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারবে।”

এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব ব্যাংকিং ও ব্যাংকের পরিচালন ব্যবস্থাপনায় সহায়তাকেও বিবেচনা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এই প্রচেষ্টার ফলে ব্যাংকের প্রধান কাজে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি হয়নি বলে মনে দ্যা ব্যাংকার।

আতিউরের মেয়াদকালে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ২০১৩ সালের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমে ২০১৪ সালে সাড়ে ৬ শতাংশে নেমেছে।

এই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তিনগুণ বেড়ে ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্বে বহাল করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এই পুরস্কার সরকার প্রধানকে উৎসর্গ করেন গভর্নর।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আতিউর বলেন, “এটি আমার একক সাফল্য নয়। আমি এবার আমার এই সাফল্যের স্বীকৃতিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উৎসর্গ করছি, যিনি আমাকে পর পর দু’বার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব দিয়ে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতকে বিশ্ববাসীর নজরে আনার সুযোগ করে দিয়েছেন।”

রাতে গভর্নর বলেন, “আমার কাছ থেকে পুরস্কার পাওয়ার খবর শুনে প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানিয়েছেন।”

এর আগে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে বিশেষ অবদানের জন্য সম্প্রতি ফিলিপিন্সের গুসি শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন গভর্নর আতিউর। ২৬ নভেম্বর ম্যানিলায় তিনি ওই পুরস্কার গ্রহণ করেন।

২০০৯ সালের ১ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের দশম গভর্নর হিসাবে চার বছরের জন্য দায়িত্ব নেন আতিউর। এরপর তাকে আরও এক মেয়াদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ দায়িত্বে রাখার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। ২০১৬ সালের ২ অগাস্ট তার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

বিশ্ব মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশে ‘স্থিতিশীল অর্থনীতি’ বজায় রাখা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং, গ্রিন ব্যাংকিং এবং সিএসআর (সামজিক দায়বদ্ধতা) কার্য‌ক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ‘বিশেষ’ অবদান রাখার জন্যই আতিউরকে এই স্বীকৃতি।

অর্থনীতিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ের অবদান প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কৌশলের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে দশ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের জন্য ঋণ, গ্রিন ব্যাংকিং, আর্থিক খাতের আধুনিকায়ন, ই-কমার্স, মোবাইল ব্যাংকিং, কৃষি ঋণ সম্প্রসারণ, রপ্তানি উন্নয়ন ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন উদারীকরণ ইত্যাদি।

“এসবের ফলে প্রবৃদ্ধির ভিত্তিভূমি হয়েছে প্রসারিত, যা টেকসই উন্নয়নের জন্যে অপরিহার্য। জনগোষ্ঠীর সবাইকে জাতীয় উৎপাদনে সামিল করা এবং দরিদ্রের ক্ষমতায়নই হচ্ছে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ের মূলমন্ত্র।”

২০১৫ সালে আতিউরের সঙ্গে এই স্বীকৃতি পেলেন পেরুর হুলিও ভেলারাদ, জর্জিয়ার জর্জি কাদাজিৎসে, ওমানের হাম্মুদ বিন সাঙ্গুর আল জাদজালি ও মোজাম্বিকের আর্নেস্তো গোভ।

১৯২৬ সাল থেকে অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকারদের কাছে এই খাতের তথ্যের ভাণ্ডার হিসাবে পরিচিত ‘দ্য ব্যাংকার’ বর্তমানে ১৮০টিরও বেশি দেশে পঠিত। এর ভাণ্ডারে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের চার হাজারের বেশি ব্যাংকের তথ্য সংরক্ষিত আছে।

গতবছর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চল থেকে সেরা গভর্নর হয়েছিলেন ব্যাংক অফ জাপানের হারুহিকো কুরোদা। এছাড়া ইউরোপ থেকে চেক ন্যাশনাল ব্যাংকের মিরোস্লাভ সিঙ্গার, আমেরিকা থেকে কলম্বিয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হোসে দারিও ইউরিব, মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসরায়েলের স্ট্যানলি ফিসার এবং আফ্রিকা থেকে সাউথ আফ্রিকান রিজার্ভ ব্যাংকের গিল মার্কাস এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।

১৯৫১ সালে জন্মগ্রহণকারী আতিউর রহমান কর্মজীবনে ব্যাংক ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, গবেষক হিসাবে সমভাবে খ্যাত।

প্রকৃতিপ্রেমী ও সংস্কৃতিমনা এই অর্থনীতিবিদ দরিদ্র জনগোষ্ঠির অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি নিয়েও কাজ করেছেন দীর্ঘদিন।

গভর্নর হওয়ার আগে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পরিচালক ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসাবেও দায়িত্ব পালন ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি করা আতিউর।


বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্রঋণ বিপ্লব নিয়ে বহু গবেষণামূলক লেখাও রয়েছে তার। ২০০৯ সাল পর্যন্ত তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৪৫টি।

সংঘাত নয় চাই উন্নয়ন ৷ সবুজ চাই লাল নয় ৷ লাল বাংলা চাই না উন্নয়নের বাংলা চাই

 

আমি চাই দেশের উন্নয়ন ৷ সে যে কোন
ভাবেই হোক না কেন আর যে ব্যাক্ত ই করোক
না কেন ৷ আমি তাকেই স্বাগতম জানাব ৷
১৷ নির্বাচন: নির্বাচন হলে কি হবে দেশের
কি স্বর্গ হয়ে যাবে !!! না !!!!
সংঘাত আরো বাড়বে আমি ১০০০…… ·/· sure.
মুক্তিযুদ্ধের পর
থেকে তো দেখছি কে কি করেছে ়়়়়়়়়
সবাই আসে ৫ বছরের জন্যে আর
দুর্নীতি দুর্নীতি দুর্নীতি ়়়়়়়
করে চলে চাই আবার আসে সেই
চেনা দুর্নীতি আর দুর্নীতি ৷
এটা কি সত্য ৷
আর নির্বাচনের ফলে বাঙালিদের লাভ হয়
কিছু
☞ লাল চা ☞৫০০,১০০০ টাকা ☞মোবাইল ফোন
☞আর নিজের আপন জনদের সাথে নির্বাচনীয়
দ্বন্দ
☞শেষে অনেক সময় সস্তার জীবনটা দিতে হয়
☞নির্বাচনের পর পরাজিত দলের
কর্মীরা বাড়ি ছাড়া হতে হয় ☞আরো কত
কি৷৷!!!!!!!!!
বাঙালি তোমরা সাবধান হও
তত্ত্বাবধায়ক: এ দিলে তো আবার দেশের
গণতন্ত্র নামক পরিবারতন্ত্রের অপমৃত্যু
ঘঠবে না ৷
যারা বর্তমানে এর পক্ষে অবস্থান
নিয়েছে ঠিক তেমনি আজ যারা এর
বিরুদ্ধে আছে সবাই তাদের অতীত জানি
☞সরকারে থাকলে বলে হরতাল মানি না,
হরতালে দেশের অর্থনীতি ধংস হয় ৷
☞আমরা বিরোধী দলে গেলে হরতাল দিব
না আর
বিরোধী দলে থাকলে বলে এটা মৌলিক
অধিকার ৷
☞আমার প্রশ্ন এ অধিকার তোদের
কে দিয়ে দিয়েছে, বলবি ৷
☞ আমার বিশ্বাস বাংলার মানুষ কেহ
তোদের হরতালের পক্ষে নেই৷
সরকার পতন : সরকার পতন হলে কে গঠন
করবে সরকার !!!!!
★★★★
✘আওয়ামীলীগ
✘বিএনপি
✘ জামাত
✘জাতীয় পার্টি
✔ অন্য কোন নতুন মুখ✔
☞☞☞ ভেবে বলুন তো আর আপনার স্ব স্ব ধর্ম
গ্রন্থের কছম নিয়ে বলুন তো ঘুরে ঘুরে ওরাই
তো আসবে !!!
⇄ শুধু মাত্র ৫ বছরই তো ৷
একে ৫ বছরের বিরতি বললে কি ভালো হয়
না !!!
↷⇙↖⇘
এস জে ধ্রব
⇥∝

সরকার পতন হলে কে গঠন করবে সরকার !!!! ঔ
তো যে পূর্বে ছিল তাই তো ৷ পরে আবার যখন
পতন হবে তখন যে এখন আছে ৷ তবে সেই
পতনের কি প্রয়োজন !!!! আমি বুঝি না ৷
মাঝে মরবে জনগন আর ওরা মরা লাশ
নিয়ে ফায়দা লুঠবে ৷
বলুন তো বাংলাদেশর কোন সরকার তাদের
কথা ঠিক রেখেছে৷ তারা কথায় কথায়
বলে শেখ মুজিবের আদর্শে আমরা ! আবার
জিয়ার আদর্শে আমরা ৷ কেউবা অন্য কোন
নেতার নাম দিয়ে বলে
৷ কেউ কি উনাদের আদর্শের
কথা কাজে প্রয়োগ করে ৷
মনে তো হয় না
কেন শুধু শুধু এই ভালো ব্যাক্তিদের কে অবুঝ
শিশুদের মনে খারাপ ধারনা সৃষ্টি করছেন ৷
সর্ব পরি আমরা চাই দেশের উন্নয়ন
দেশকে ভালোবাসি
⇄⇄⇄⇄
কেন হরতাল নামে দেশকে পিছিয়ে দেয়া ৷
হরতালে র নামে অরাজগতা !!!
কেন সরকার পতন নামে নিরিহ মানুষ
মারা পরা ৷
উচ্চ পর্যায়ের
নেতা উনারা নিজেরা নিজেরা লাগলেই
তো ভালো হত ৷ এতে করে তো একটি পক্ষ
ধংস হত ৷
শুধু শুধু নিরিহ মানুষ কে নিয়ে কেন
খেলা করা ৷
ওদের জীবনের মূল্য কি নাই ৷
আর ওদের জীবনের দাম তো মাত্র কয়েক
হাজার টাকা ৷
সাধারণ মানুষ মারা গেলে তেমন কোন
আন্দোলন হয় না কিন্তু রাজনীতিক
ব্যক্তি মারা গেলে তো আরো কইছুব প্রাণ
জাবেই



আপনারাই তো বলেন

ব্যক্তির চেয়ে দল বড়
আর দলের চেয়ে দেশ বড়৷

এই মন্ত্রটা বাস্তবায়ন চাই৷

Follow us on facebook

Category 1

Slideshow

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *